বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছুদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে শিক্ষার্থী-জনতা নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে। এই দল কবে প্রকাশ্যে আসছে, দলের নেতৃত্ব কে দেবে- তা নিয়ে সাধারণ মানুষের রয়েছে জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে সম্ভব্য রাজনৈতিক দলটির নাম ঘোষণা হতে পারে।
এদিকে আসন্ন দলটির দলটির নাম এবং প্রতীকের বিষয়ে চলছে জনমত জরিপ। এ ক্ষেত্রে জনগণের চিন্তাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন দলটির উদ্যোক্তারা। এরই মধ্যে শুধু অনলাইনেই প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিজেদের মতামত জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। নামের বিষয়ে নাগরিক কমিটির এক নেতা বলেন, বেশিরভাগ মানুষ নাগরিক, বৈষম্যবিরোধী, অধিকার এসব যুক্ত অর্থাৎ নাগরিক অধিকার পার্টি, নাগরিক মর্যাদা ইত্যাদি নাম সাজেস্ট করছেন। প্রতীক হিসেবে গতানুগতিক প্রতীকের বাইরে অর্থাৎ অভ্যুত্থানের কোনো চিহ্নকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে দল ঘোষণার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। দল ঘোষণার পর চলতি মাসের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় কর্মসূচিও পালন করতে চান তারা। সেক্ষেত্রে ২৫ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণার বিষয়ে মতামত আসে। ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যা দিবস হওয়ায় তার আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
নতুন দলের রাজনৈতিক কাঠামো কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে জানিয়ে এই নেতারা বলেন, শুরুতে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই শুরু করতে চান তারা। আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম অনেকটা চূড়ান্ত হলেও সদস্য সচিব নিয়ে চলছে আলোচনা। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাদের দুজন থেকে একজন সদস্য সচিবের দায়িত্ব নেবেন। এ ছাড়া নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ থাকছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
তথ্যসূত্র: ittefaq.com.bd